নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগ থেকে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে ভরাডুবি সাইয়িদ-রেজা-রনি। ভোটের ফলাফলে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির।
পটুয়াখালী-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ১৭৬ ভোট। কিন্তু এই আসন থেকেই জয়ী আওয়ামী লীগের এস এম শাহাজাদা তার চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি ভোট (২ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৯) পেয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ আসনে রেজা কিবরিয়া পেয়েছেন ৮৫ হাজার ১৯৭টি ভোট। এই আসন থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৮ ভোট।
পাবনা-১ আসনেও জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক টুকু। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৯২ হাজার ভোট। অথচ এই আসন থেকেই সম্প্রতি আওয়ামী লীগ থেকে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া প্রার্থী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার ৩৯১ ভোট যা টুকুর ১৮ ভাগের ১ ভাগ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়। এর পরেই ড. কামালের দল গণফোরামে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া ও আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তারা দুজনই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন। অন্যদিকে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের টিকিটে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়েন।