Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ রবিবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জামালপুরে মোট ২৫ আর ভোলায় ৪ বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:১৬ PM
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:১৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর জেলার পাঁচটি আসনে পঁচিশ প্রার্থীর জামানত বাতিল হতে যাচ্ছে অপর দিকে ভোলা জেলার চার প্রার্থীর জামানতও বাতিল হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্তদের মধ্যে জামালপুরে বিএনপির তিনজন ও ভোলার বিএনপি প্রার্থী রয়েছেন চারজন আর অন্যান্যরা বিভিন্ন দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮২ জন। বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ২২ ভোট। ভোটের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৮২ দশমিক ৩০ ভাগ। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ছয়জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোটদাতাদের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় বাকি পাঁচজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।

জানামত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল মজিদ(হাতপাখা) তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২২৪ ভোট, ন্যাপের প্রার্থী মো. সুরুজ্জামান(কুঁড়ে ঘর) তিনি পেয়েছেন ৯৯১ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম(কাঁঠাল) তিনি পেয়েছেন ৯২২ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ ছাত্তার(লাঙ্গল) তিনি পেয়েছেন ৭৫৮ ভোট এবং গণফোরামের প্রার্থী মো. সিরাজুল হক(সূর্য) তিনি পেয়েছেন ৪৬০ ভোট।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে ২ লাখ ২১ হাজার ১৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ জন। বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৮৯ ভোট। ভোটের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৯০ দশমিক ৩৮ ভাগ। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ফরিদুল হক খান ১ লাখ ৮০ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোটদাতাদের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় বাকি চারজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।

জানামত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির প্রার্থী এ. ই. সুলতান মাহমুদ বাবু(ধানের শীষ) তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭২১ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মো. মিনহাজ উদ্দিন(হাতপাখা) তিনি পেয়েছেন ৮২২ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ(লাঙ্গল) তিনি পেয়েছেন ২১৯ ভোট এবং সিপিবির প্রার্থী মনজুরুল আহসান খান(কাস্তে), তিনি পেয়েছেন ৬১৩ ভোট।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে ৪ লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৩ জন। বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ২২০ ভোট। ভোটের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৯২ দশমিক ৫৬ ভাগ। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয়জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মির্জা আজম ৩ লাখ ৮৫ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল(ধানের শীষ), তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৭৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী বুরহান উদ্দিন(হাতপাখা ) তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪২ ভোট, জাকেট পার্টির প্রার্থী মো. আ. হাকিম শান্তি(গোলাপফুল) তিনি পেয়েছেন ৪৬০ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মনজুর আহাদ হেলাল(লাঙ্গল) তিনি পেয়েছেন ৪৩২ ভোট এবং সিপিবির প্রার্থী শিবলুল বারী রাজু(কাস্তে) তিনি পেয়েছেন ২৯৯ ভোট।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৮০ জন। বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৫৮৩ ভোট। ভোটের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৮৮ দশমিক ৪৬ ভাগ। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চারজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মুরাদ হাসান ২ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোটদাতাদের আট ভাগের একভাগের কম ভোট পাওয়ায় বাকি তিনজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।

জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমান বস্তু(লাঙ্গল) তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৩ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আলী আকবর(হাতপাখা) তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫০ ভোট এবং বিএনএফ এর প্রার্থী মোস্তফা বাবুল(টেলিভিশন) তিনি পেয়েছেন ৬৫৬ ভোট।

জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ১৪৮ জন। বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৫১৩ ভোট। ভোটের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৮৭ দশমিক ৭০ ভাগ। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নয়জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোজাফফর হোসেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোটদাতাদের আট ভাগের একভাগের কম ভোট পাওয়ায় বাকি আটজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।

জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন(ধানের শীষ) তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৭৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ ইউনুছ আহাম্মেদ(হাতপাখা) তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫০৬ ভোট, সিপিবির প্রার্থী শেখ মো. আক্কাছ আলী(কাসেত্ম ) তিনি পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট, জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ(গোলাপফুল) তিনি পেয়েছেন ২৮৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন(বটগাছ) তিনি পেয়েছেন ১৪২ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী আল আমিন জুরহমান(হারিকেন) তিনি পেয়েছেন ১১২ ভোট এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী মো. বাবর আলী(বাইসাইকেল) তিনি পেয়েছেন ১০৩ ভোট।

এদিকে ভোলা-১ (সদর) ১১৩টি ভোট কেন্দ্রের সরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মুফতি ইয়াছিন নবীপুরী পেয়েছেন ৭ হাজার ৮০১ ভোট, বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর ৭ হাজার ২৯৯ ভোট, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কেফায়েত উল্লাহ নজিব পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৮ ও কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে কাস্তে প্রতীক নিয়ে সোহেল আহমেদ পেয়েছেন ১ হাজার ০২ ভোট।

ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের ১১২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল পেয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি থেকে ধানের শীষ নিয়ে হাফিজ ইব্রাহিম পেয়েছেন ১৪ হাজার ২১৪ ভোট। ইসলামী আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ পেয়েছেন ৮ হাজার ২৭৭ ভোট। সহকারী রির্টানিং কর্মকর্ত মো.আ. কুদদুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুকুল দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

ভোলা-৩ (লালামোহন-তজুমদ্দিন) আসনের ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সব কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ২ লাখ ৫২ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মাওলানা মোসলে উদ্দিন ৪ হাজার ১৫১ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নুরুন নবী সুমন পেয়েছেন ২ হাজার ২৭৫ ভোট। বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৪ ভোট।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে ১৩৬টি ভোট কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৮১ ভোট। বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নাজিম উদ্দিন আলম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৬ ভোট। এ নিয়ে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের চারজন, বিএনপির চারজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চারজন, জাতীয় পার্টির দুইজন ও কমিউনিষ্ট পার্টির এক প্রার্থীসহ মোট ১৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এদিকে ভোলা-২, ভোলা-৩ ও ভোলা-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থীরা অভিযোগ করেন তারা বাধা ও ভয় ভীতির জন্য কেন্দ্রে ভোট দিতে যাননি। তবে ভোলা ৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী মোট ভোটদাতাদের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় এইসব প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

Bootstrap Image Preview