Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আওয়ামী লীগের জয়ে আতঙ্ক কাটলো পশ্চিমবঙ্গের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৪ PM
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিপুল জয় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করেছে। ডান এবং বাম, দুই শিবিরই এই ব্যাপারে এক মত পোষণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যমে রোববার থেকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রচারিত হচ্ছিল বাংলাদেশের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের খবর।

কৌতুহল ছিল ফলাফল নিয়ে। অবশেষে যখন নিশ্চিত হলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তখন স্বস্তির সুর সংবাদপাঠকদের কণ্ঠেও এবং এই ব্যাপারে আগাম যা খবর ছিল, বিশেষত বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম এবং নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী বিএনপির ক্ষমতায় আসা নিয়ে সামান্য হলেও যে উদ্বেগ ছিল, তা যে শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো না, এতে যেন অনেকেই আশ্বস্ত।

কলকাতার রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়াতেও সেই একই স্বস্তির সুর। সিপিআইএম সাংসদ মো. সেলিম বলেন, ‘অবশ্যই স্বস্তিদায়ক ফলাফল। কারণ, যেভাবে মিডিয়া রিপোর্ট হচ্ছিল এবং বাংলাদেশ থেকে যা খবর আসছিল, তাতে একটা আশঙ্কা হচ্ছিল যে, বাংলাদেশ অনেক আত্মত্যাগ করে স্বাধীন হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ এবং লক্ষ্য ছিল, সেখান থেকে যাতে পিছিয়ে না যায়, সেটা আমাদের আশঙ্কা ছিল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার বিপুল জয়লাভ করেছে। আমার মনে হয়, তাতে (তাদের) দায়িত্ব আরো বেড়ে গিয়েছে। আর আমাদের একদম পাশের রাষ্ট্রে জামায়াতের মতো একটা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান হলে, সেটা এই বাংলার এবং এই দেশের রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমরা নিজেরা এখনই খুবই উৎপীড়িত এবং নাজেহাল অবস্থায় আছি। সেখানে আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা যেন না তৈরি হয়, সেজন্য প্রতিবেশী দেশে শান্তির শক্তি, প্রগতির শক্তি এবং নির্দিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী, সৌভ্রাতৃত্বের প্রতি যারা আস্থা রাখে, এমন শক্তির বিজয় সবসময় কামনা করেছিলাম।

অন্যদিকে দক্ষিণপন্থি বিজেপিও বাংলাদেশ নির্বাচনের এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দলের অন্যতম নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, স্বাভাবিকভাবেই একটা গণতান্ত্রিক, আপাত ধর্ম নিরপেক্ষ দল ক্ষমতায় এসেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এতে খুশি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করব যে, অন্তত তার এই শাসনে, যদি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন; সেদিকে তিনি সচেতন দৃষ্টি রাখবেন এবং একই সঙ্গে আশা করি যে, আমাদের দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমটা যেন একমাত্র সীমান্ত পার না হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারও সচেষ্ট থাকবে। আমাদের দেশের যে সরকার, তারাও সচেষ্ট থাকবে। দুদেশের মেলবন্ধন যেন হয়। ডিডব্লিউ।

Bootstrap Image Preview