জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিসিবি সভাপতি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান পাপন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভৈরব-কুলিয়ারচরে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
তৃতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আজ সোমবার তার ভৈরবস্থ নিজ বাসভবন আইভি ভবনে বসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়ী হয়েছি তা আমার ধারণার বাহিরে ছিল। ভৈরব-কুলিয়ারচরবাসী সবসময় আমার বাবাকেও বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন। আমি আমার এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সবার্থক কাজ করেছি ভবিষ্যতেও কাজ করবো। এ সময় হাজারো জনতার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা মামলায় জঙ্গীরা আমার মা এদেশের সংগ্রামী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়। এদিন আ০লীগের ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়ে আজও পঙ্গুত্ববরণ করছে। সেদিন আমার মাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে দেখলাম দুটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদিন ডাক্তাররা ভয়ে আমার মায়ের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে চায়নি। তারপর ২৪ আগষ্ট আমার মা মারা যান। এই ব্যথা বেদনা নিয়ে আমার বাবা জিল্লুর রহমান ৯ বছর বেঁচে গেছেন। তিনি এদেশের রাষ্ট্রপতি হলেও যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন বঙ্গভবনে একাকি জীবন কাটিয়েছেন। তখন আমরা তার পাশে থাকলেও আমার মায়ের অভাবের কথা প্রতিদিন বলে তিনি কাঁদতেন। বিএনপি খুনীর দল তাই এবারের নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়েছে আমি খুশী হলাম।
ভৈরব-কুলিয়ারচরবাসীর ভালবাসায় এবং ভোটের কারনে আমার বাবা জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতিসহ এদেশের নেতা হয়েছিলেন। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমার বাবা স্বাধীনতার পর এই আসন থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন এলাকার অভিভাবক। আপনাদের দুঃখ সুখ ও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আমার বাবা সময় ভাবতেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর এলাকাবাসী আমাকে ভালবেসে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে। কিন্ত এবার আমি ২ লাখ ৪৮ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হব কখনও ভাবেনি।
তিনি বলেন, জানতে পেরেছি আমার বাবাও কোন নির্বাচনে এত বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হননি। এবারের বিজয়ে এলাকাবাসীর এই ভালবাসায় আমি মুগ্ধ ও সিক্ত হলাম। আগামী দিনগুলিতে আমি ভৈরব-কুলিয়ারচরের উন্নয়ন আর মানুষের দুঃখ সুখে পাশে থাকব সবসময়। তবে এটা সত্যি আমি আমার বাবার মত কখনও হতে পারব না কিন্ত গরীব দুঃখি মানুষের কাছে থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এতদিন আমি ব্যবসা বাণিজ্যে ও বিসিবি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এলাকাবাসীকে তেমন একটা সময় দিতে পারেনি। এবার নির্বানে এলাকার প্রতিটি স্থান আমি ঘুরেছি। মানুষ আমাকে পেয়ে অনেক খুশী হয়েছে, দোয়া করেছে এবং আমার বাবার কথা বলেছে। আমার ভুল ভেঙেছে, এখন থেকে সবসময় আমি এলাকায় আসব।