বাড়ছে শীত। গতকাল এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ওই এলাকায় সোমবার সকাল থেকেই তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার থেকে পৌষের শীত জেঁকে বসতে শুরু করে। পরদিন তা ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ আকারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বইতে শুরু করে।
শীতের সঙ্গে বেড়েছে শীতল বায়ুপ্রবাহ। বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। ফলে শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভোরে কুয়াশা আর দিনভর ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। রাতে তা আরও অসহনীয় হয়ে উঠছে।
শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ ঘটে থাকে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। ইতিমধ্যে শীতজনিত নানা রোগে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জনসাধারণকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে ‘মাঝারি’ মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তবে তা ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে ‘মৃদু’ শৈত?্যপ্রবাহ। এ হিসাবে দেশের বেশির ভাগ স্থানে বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
আবহাওয়া অফিসের (বিএমডি) সোমবার রাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চগড় জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, নওগাঁ, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্ট অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিএমডির বিজ্ঞপ্তি বলেছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ কারণে সারা দেশে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। শীতের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশার প্রকোপ বেড়েছে।