কুয়েতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরো কিছু আরব দেশ সিরিয়ায় তাদের কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করবে। কুয়েত আরো বলেছে, এই আলামত এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে যে, অচিরেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আরব দেশগুলোতে আগের মতোই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠছেন।
কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেইউএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ২২ সদস্যবিশিষ্ট আরব লীগের বৈঠক থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে হবে।
কুয়েতের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আল-জারাল্লাহ বলেছেন, তার দেশ আরব লীগের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে এবং এই সংস্থা সবুজ সংকেত দেয়া মাত্র সিরিয়ার রাজধানীতে নিজের দূতাবাস আবার চালু করবে।
জারাল্লাহ বলেন, আরো অনেক আরব দেশ সিরিয়ায় তাদের কূটনৈতিক মিশন খোলার আগ্রহ প্রকাশ করায় আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরব বিশ্বের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।
আগামী ৬ জানুয়ারি মিসরের রাজধানী কায়রোয় আরব লীগের সদর দপ্তরে এই সংস্থার স্থায়ী প্রতিনিধিরা পরবর্তী বৈঠকে মিলিত হবেন।
২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর ওই বছরের নভেম্বরে আরব লীগ সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সিরিয়া সরকারকে বিরোধী পক্ষের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ আনা হয়। দামেস্ক সে সময় ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, আরব লীগের ঘোষণাপত্র লঙ্ঘন করে সিরিয়ার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিয়ায় নিজের দূতাবাস আবার চালু করেছে এবং বাহরাইনও তার কূটনৈতিক মিশন চালু করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।