মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে নির্বাচন শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। লঞ্চ, সিবোট ও বাসে ছিলো যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ। লঞ্চ-বাসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার যাত্রীকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। বাস টার্মিনালে বাস না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের জীবনের তোয়াক্কা না করেই কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ঢাকামুখী অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড়ছে। লঞ্চ থেকে নেমেই যাত্রীরা সোজা বাস কাউন্টারে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে বাস না পাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় ঘাটে দেখা দেয় বাস সংকট। এতে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হতে থাকে কাঁঠালবাড়ী থেকে আসা যাত্রীদের সারি। এদিকে এ নৌরুটের রোরো, কেটাইপ, মিডিয়াম, ডাম্প, ছোটসহ ১৬টি ফেরিই দিন-রাত যানবাহন পারাপার করলেও কাঁঠালবাড়ী প্রান্তে যানবাহনের চাপ কমেনি।
বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিউটিএর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ঢাকায় বসবাসরত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট শেষ করে শিমুলিয়া ঘাট হয়েই কর্মস্থলে ফিরছে। এর ফলে শিমুলিয়া বাস টার্মিনালে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে।
তারা আরো জানান, গতকাল হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চ, সিবোট ও ফেরিতে করে ওপারের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। যানবাহনগুলো ফেরি থেকে নেমে চলে গেলেও লোকাল যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ঢাকায় যাওয়া গাড়ির অপেক্ষায় থাকছে। এ সুযোগে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে চলাচলরত ১২টি স্থানীয় পরিবহনের এক শ্রেণির অসাধু বাস মালিক ও চালক যাত্রীদের থেকে নির্ধারিত ৭০ টাকা ভাড়ার স্থলে ১০০-১৫০ টাকা করে আদায় করছে।
.মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরমান হোসেন জানান, নির্বাচনের কারণে দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার মানুষ ভোট দিতে গ্রামে গিয়েছিল। ভোট শেষে তারা এখন কর্মস্থলে ফিরছে। এ কারণে গত সোমবার বিকেল থেকেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সংখ্যক বাসে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণেই যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে উঠতে একটু সময় লেগেছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।