একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী হয়ে একটি ভোটও না পেয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ রুমী। ব্যালট বাক্সে তার মার্কায় একটি সিলও পড়েনি। গণসংহতি আন্দোলনের কোদাল মার্কায় প্রার্থী ছিলেন তিনি। তিনি সর্বমোট শূন্য ভোট পেয়েছেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গণসংযোগ বা নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে ছিলেন না রুমী। তার গণসংযোগ মিছিলগুলোতে দেখা গেছে- এলাকার কয়েকটি সংগঠনের সংগঠক, রাজনৈতিক কর্মী, প্রসিদ্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাহিত্যিক, মানবাধিকার আইনজীবীদের। তার কোদাল মার্কার ব্যানার, পোস্টারও দেখা গেছে এই আসনের বিভিন্ন স্থানে। নির্বাচনের খবরে জাতীয় এবং স্থানীয় দৈনিকগুলো রুমীকে গুরুত্বও দেয়া হয়েছে। এতো কিছুর পরেও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে একটি ভোটও পান নি এই রাজনৈতিক ব্যক্তি।
এ বিষয়ে মারুফ হাসান রুমী বলেন, 'আমার বাসা দেওয়ানহাটের যে এলাকায়, সেটি চট্টগ্রাম-৯ ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের সীমানায় পড়েছে। যার কারণে আমি চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী হলেও ভোটার চট্টগ্রাম-৯ আসনের। এ কারণে নিজের ভোটটিও মেলেনি আমার।
কেন কোনো ভোট পাননি- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে রুমী জানান, অনেকেই দাবি করেছেন যে, তারা চট্টগ্রাম-১০ আসনে গণসংহতি ফোরামের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাদের ওই দাবি কতটা সত্য তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই হয়তো এখন স্বাভাবিক, কারণ তিনি যে শূন্য ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ রুমী ছিল নির্বাচিত মুখপাত্র। এছাড়াও তিনি বড় বড় সব সার্বজনীন সাংস্কৃতিক আয়োজনের একজন সর্বাগ্রগণ্য উদোক্তা।
চট্টগ্রামে পোষাক শ্রমিকদের আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনেও রুমীর ভূমিকা ছিল অগ্রগন্য।