আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন তাঁর চলচিত্রে একদিকে যেমন সমাজের খেটে খাওয়া ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের চিত্র ফুটে উঠেছে তেমনি সমাজের উঁচু শ্রেণীর অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন গভীরভাবে। তিনি উপমহাদেশের ভিন্ন ধারার চলচিত্র নির্মাতা। তাঁর চলচিত্রে প্রেম, ভালবাসা, বঞ্চনা ও অধিকারের এক অপূর্ব সমন্বয় সৃষ্টি হয়েছে। এই মহান মণিষীর মৃত্যুতে বাংলা চলচিত্রের এক উজ্জল নক্ষত্রের পতন হল।
মৃণাল সেনের মৃত্যুতে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক স্মরণ সভায় বক্তাগণ একথা বলেন। ফরিদপুরের আলিপুরে শাপলা সড়কে সুহৃদ মিলনায়তনে সকাল ১০টায় সভা শুরু হয়। মৃণাল সেন চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে এ স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রি নাসির আল মামুন এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি মৃণাল সেনের সাথে তার অসংখ্য স্মৃতি তুলে ধরেন।
অন্যান্যের মধে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ফরিদপুরের সভাপতি রমেন্দ্রনাথ কর্মকার, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, মৃণাল মেন চর্চা কেন্দ্রের বেলাল চৌধুরী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
এ সময় মৃণাল সেনের জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
উল্লেখ্য, মৃণাল সেন গত ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার পদ্ম পুকুর এলাকার নিজ ফ্লাটে ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯২৩ সালের ২মে ফরিদপুরের ঝিলটুলী মহল্লার পৈত্রিক নিবাসে তিনি জন্ম নেন।