প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা ও বর্তমান ঢাকা-১ আসনের নবনির্বাচিত এমপি সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমি আপনাদের ও এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নির্বাচন করেছি। আমার কাছে আপনাদের অধিকার অনেক। আমি এই ৫ বছরে জানি না কতটুকু উন্নয়ন করতে পারবো। কিন্তু কথা দিলাম আপনাদের সাথে নিয়ে আমার সবটুকু সাধ্য দিয়ে দোহার-নবাবগঞ্জকে ঢেলে সাজাতে চাই।
আজ শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকার নবাবগঞ্জে দিনব্যাপী নির্বাচনত্তোর শুভেচ্ছা বিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি বলেন, আগে আমি আপনাদের এলাকার সন্তান ছিলাম। আমাকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। যদি আমাকে ভোট না দিতেন তাহলে আজ হয়তো এতো সম্মান নিয়ে আপনাদের মাঝে আসতে পারতাম না। আপনাদের প্রতিটি ভোট আমার কাছে মহামূল্যবান ছিল। ফলে আপনাদের প্রতি আমার দায়িত্ব অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। কথা দিলাম সারা জীবন আপনাদের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়ন করে যাব।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের নবাবগঞ্জে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল রাস্তাঘাট। এ ছাড়া দোহারে পদ্মা ভাঙন রোধসহ যে সব সমস্যা আছে আমি তার সমাধানের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আমি আপনাদের দেখিয়ে দিতে চাই আমি আপনাদের কাছে যে সকল ওয়াদা করেছিলাম তার পূরণ করেছি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি ইতি মধ্যে দোহার নবাবগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ৪৬৯ কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প পাশ করিয়েছি। আপনাদের চোখে এখন তা দৃশ্যমান। এছাড়া পদ্মা ভাঙ্গণ রোধে ১৪শ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ করিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
বেক্সিমকোর সহ-সভাপতি বলেন, আমি একজন সফল ব্যক্তি। কিভাবে দোহার-নবাবগঞ্জকে একটি মডেল উপজেলা গড়ে তুলতে হবে ইতিমধ্যে আমি তা পরিকল্পনা করে রেখেছি। আপনারা জানেন কারো একার পক্ষ্যে এতো উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই আমি আপনাদের সকলকে পাশে চাই। আপনাদের একজন সঙ্গী হয়ে দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়ন করে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত ছিলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসিল্যান্ড) মনজুর হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আ. বাতেন মিয়া, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, সাধারণ স¤পাদক জালাল উদ্দিন, নবাবগঞ্জ থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, দোহার থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।