প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল আলমকে আহবায়ক করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ ও এসডিজির আলোকে এ কমিটি আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের মধ্যে একটি খসড়া কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। ভাষা জ্ঞান ও গণিত জ্ঞানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাষা ও গণিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদাবৃদ্ধিসহ সরকারের নানা কল্যাণমূখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষা খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে, সরকারের আগামী মেয়াদে তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও সকল দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে তাদের উপযোগী পাঠ্যবই প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সকল গ্রামে, আধা-মফস্বল শহরে এবং শহরের নিম্মবিত্ত এলাকার স্কুলসমূহের পর্যায়ক্রমে সার্বজনীন করা হবে।
বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত করা হবে। প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার শূণ্য কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। গত এক দশকে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। উপবৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হবে মেধা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া আরও কিছু কর্ম-পরিকল্পনার বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে এসডিজি ও নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ বাস্তবায়নের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ও তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা পাঠচক্রের লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা, জ্ঞান আহরণ এবং দেশ ও জাতির অবিকৃত সত্য ইতিহাস জানার অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করা।