দিন দিন মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান দখল করে মানুষ গড়ছে ঘর-বাড়ি ও কল-কারখানা। বন ও ঝোপঝাড় উজাড় হয়ে যাওয়ায় দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী।
দেশের প্রতিটি বনই দিন দিন হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্য সেই সাথে চরম হুমকির মুখে রয়েছে বেশির ভাগ প্রজাতির প্রাণির ভবিষৎ। এভাবে চলতে থাকলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এসব বন্যপ্রাণীরা।
হাজারও বৈচিত্র্যময় প্রাণীতে ভরপুর ছিল দেশের অন্যতম রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট লাউয়াছড়া এবং হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান যা এখন অনেকটাই অতীত। দিন দিন প্রাণীজগতের বেশিরবাগ প্রাণী আজ বিরল বা বিপন্ন প্রজাতিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
সুন্দর এই প্রাণীদের একটি হচ্ছে কালা মথুরা বা কালো ময়ূর। কালা মথুরাকে সাধারণত মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ সিলেট এবং চট্টগ্রামে চির সবুজ বনে দেখা যায়। এরা বনের পাশে, জঙ্গলসংলগ্ন স্থান ও বাশেঁর ঝোপে ছোট ছোট দলে বা জোড়া জোড়ায় মিলে বিচরণ করে। কালা মথুরা দেখতে অতি সুন্দর। এই পাখি সহজের নজর কাড়ে যে কারও। কালা মথুরা কালচে নীল রংঙের ভূচর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য কম বেশি ৬২ সেন্টিমিটার, ডানা ২২ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩.৫ সেন্টিমিটার, পা ৭.৫ সেন্টিমিটার, লেজ ২৩ সেন্টিমিটার ও ওজন ১.৩ কেজি।
পুরুষ পাখির পিঠ উজ্জ্বল নীল রঙের। পাখার পালক খাড়া থাকে। কোমর ও পেছনের পালকের প্রান্ত সাদা। স্ত্রী পাখির মাথার চূড়া ও লেজের পালক হালকা বাদামি রংঙের। পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় পাখির চোখ পিঙ্গল থেকে কমলা-বাদামি। চোখের পাশের পালকহীন চামড়া টকটকে লাল। পা এবং পায়ের পাতা বাদামি রংঙের।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু মুসা শামসুল মুহিত বিডিমর্নিংকে বলেন, কালা মথুরা খাদ্য হিসেবে বাশঁ বীজ, ডুমুর, পিঁপড়া, উইপোকা, ছোট সাপ, টিকটিকি ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। সাধারণত মাটি থেকে কুড়িয়ে খাবার খায় তারা। মার্চ থেকে অক্টোবরের ভেতরে এরা প্রজনন সম্পন্ন করে থাকে বলেও জানান তিনি।