নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় গৃহবধূ নুরজাহান বেগমকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছেন তার মাদকাসক্ত স্বামী মোহর আলী। এসময় গৃহবধূর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ফতুল্লার দক্ষিন সস্তাপুর এলাকার টিটু মিয়ার বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
এলাবাসীর ভয়ে পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামীই তার স্ত্রীকে শহরের খানপুর ৩০০শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। গুরুতর আহত ওই নারীকে পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
নুর জাহানের মা আনোয়ারা বেগম জানান, দরজা খুলতে বিলম্ভ হওয়ায় মোহর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তার মেয়ের পাঁজরে আঘাত করে। এরপর আরেকটি আঘাত করলে সেটি হাত দিয়ে আটকায় নুরজাহান।
পাঁজরের অনেকটা ভিতর পর্যন্ত ছুরি ঢুকে যায় এবং ডান হাতের মুঠের মাঝখানে অনেকটা কেটে যায় ওই গৃহবধূর।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দেবব্রুত জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
খানপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজনীন আক্তার জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, নুরজাহানের স্বামী মোহর আলী মাদকাসক্ত এবং চিহ্নিত চোর। প্রায় সময়ই এ নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে বাসায় ঝগড়া হতো। এছাড়া মোহর আলী ঘরের ভিতরই মাদক সেবন করতো। এ বিষয়ে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা প্রায় সময় বাড়িওয়ালার কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।