সীমান্ত পথে ভারতীয় গরুপাচারের আড়ালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের মূলহোতা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুর সীমান্তের ত্রাস শরীয়তুল্লাহ লাহুকে (৪৮) অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শিবতলা এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশের একটি দল।গ্রেফতারের পর তাকে সদর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটির মতে, কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুরহাটে আজু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এ মামলার অন্যতম আসামি শরীয়তুল্লাহ লাহু। এ মামলায় আদালত থেকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। তাকে আজু হত্যা মামলায় আদালতে চালানের প্রস্তুতি চলছে।
লাহুর বিরুদ্ধে আরও দুটি নাশকতা ও সহিংসতার মামলা চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
ওসি বলেন, লাহুকে এতদিন পুলিশ খুঁজছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবতলার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, শরীয়তুল্লাহ লাহু বিএনপির নারায়ণপুর ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। বছর দুয়েক আগে সদর আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
মূলত সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু থেকে চাঁদাবাজি করে লাহু এখন বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। শহরের শিবতলায় পাঁচ কাঠা জমিরওপর বানিয়েছেন পাঁচতলা আলিশান বাড়ি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সীমান্ত পথে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলে বোমাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তিনি। পুলিশ এসব বিষয় তদন্ত করছে। লাহু চরাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
সূত্রটির মতে, পুলিশ প্রভাবশালীদের চাপে এতদিন লাহুকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সদরের ক্ষমতাসীন এমপি আবদুল ওদুদ পরাজিত হলে লাহু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেন।
গত বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় সে শহরের বাড়িতে ফিরেন। পুলিশ জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করেন।