‘কফি উইথ কর্ণ’ অনুষ্ঠানে নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য আরও চাপে পড়লেন হার্দিক পান্ড্য। এ বার স্পনসর হারালেন তিনি। ভারতীয় অলরাউন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করল জিলেট নামের ব্লেড প্রস্তুতকারক সংস্থা। এছাড়া বিসিসিআইয়ের সিওএ-র অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজি বিশ্বকাপেও হার্দিকদের বাইরে রাখার মত দিয়েছেন।
ভারতে জিলেটের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “হার্দিক পান্ড্যর সাম্প্রতিক কথাবার্তা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে মিলছে না। তাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্য়ন্ত হার্দিকের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করছি।” গত বছরই এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু, সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হল না। নতুন বছরের গোড়াতেই স্পনসর হারালেন তিনি।
শৃঙ্খলাজনিত কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে হার্দিককেও দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গড়া প্রশাসকদের কমিটি বা সিওএ দু’জনকেই নতুন করে শোকজ করেছে। যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততদিন বিসিসিআই, আইসিসি বা কোনও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না দু’জনে। চলতি মাসেই নিউজিল্যান্ড সফরেও সম্ভবত খেলবেন না তাঁরা। আসন্ন আইপিএলেও দু’জনে খেলবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রশাসকদের কমিটির অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজি আবার বিশ্বকাপের দল থেকেও বাদ দিতে চাইছেন দু’জনকে। তিনি সাফ বলেছেন, “কেউই খেলার চেয়ে বড় নয়। কেউই সংস্থার চেয়ে বড় নয়। কোড অব কন্ডাক্ট বলে একটা ব্যাপার আছে। চুক্তিতেও সব লেখা আছে। সেই নিয়মকানুন, আচরণবিধি মেনে তো চলতে হবে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই নিজের দায়িত্ব জানতে হবে। এই ধরনের কথাবার্তা বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমাদের সেটা ঠিক করতে হবে।” কিন্তু বিশ্বকাপেও কি দু’জনে খেলবেন না? ডায়না বলেছেন, “তা হতেই পারে।” অর্থ্যাৎ, বিশ্বকাপের দলে নাও রাখা হতে পারে দু’জনকে।