গাজীপুরের কালয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সড়কটি কয়েক বছর ধরে সংস্কার না করায় এটি খানাখন্দে ভরে গেছে। হাসপাতালে আসা রোগী, তাদরে স্বজন ও এলাকাবাসীকে ভাঙা রাস্তায় চলতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা সড়কটি সংস্কার এবং প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
কালিয়াকৈর পৌরসভা ও উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কটি পূর্ব দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পর্যন্ত পড়েছে কালিয়াকৈর পৌরসভার অধীনে। আর পশ্চিম দিকে কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কের শ্রীফলতলী এলাকা পর্যন্ত পড়েছে এলজিইডির অধীনে। জানা গেছে, দুটি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসির ও ঠেলাঠেলির কারণে প্রায় এক কিলোমিটার সড়কটি চার-পাঁচ বছর ধরে সংস্কার হচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত চিকিৎসার জন্য আসা-যাওয়া করে কালিয়াকৈর উপজেলা ও কালিয়াকৈর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ মানুষ। এই হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কও মাত্র একটি। এই সড়কের পাশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও রয়েছে শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, দর্শনীয় স্থান শ্রীফলতলী জমিদারবাড়ি, জমিদারবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। কিন্তু উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হলেও এই সড়কটি সংস্কার করা হয়নি।
বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা বলেন, এই সড়কের বিভন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ধীরগতিতে যানবাহন চালাতে হয়, ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। ফলে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রোগী, রোগীদের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রবীর কুমার সরকার বলেন, সড়কটি কয়েক বছর ধরে খারাপ। এ বিষয়ে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভার মিটিংয়ে বারবার আলোচনা হলেও সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। বেহাল সড়ক দিয়ে চলাচলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য বেশি ক্ষতিকর।
কালিয়াকৈর উপজেলা এলজিইডি অধীনে পড়লেও তা এড়িয়ে যান উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সরকার মোঃ সাজ্জাদ কবীর। তিনি বলেন, ওই সড়কটি পৌরসভার। তাই ওই সড়কের কাজ করবে পৌরসভা।
তবে কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী হরিপদ রায় জানান, শিগগিরই সড়কটি সংস্কার করা হবে।