টক শো-তে নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন হার্দিক পান্ডে এবং কেএল রাহুল। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সফর থেকে তাঁদের দেশে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনার নজির খুব একটা নেই। তবে ৮২ বছর পর আবারো ভারতীয় ক্রিকেট এমন ঘটনার সাক্ষী হলো।
১৯৩৬ সালে কিংবদন্তি লালা অমরনাথকে ইংল্যান্ড সফর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে হার্দিক এবং কেএল রাহুলের চেয়ে অমরনাথের ব্যাপারটা ছিল কিছুটা আলাদা। লালা অমরনাথের সঙ্গে দলের অধিনায়ক ভিজির সম্পর্কের জটিলতার জেরেই ঘটেছিল সেই ঘটনা। রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন লালা।
ইএসপিএন ক্রিক-ইনফোয় ২০০৭ সালে প্রকাশিত মার্টিন উইলিয়ামসনের আর্টিকেল অনুযায়ী, 'পিঠের ব্যাথা নিয়ে ম্যাচ খেলছিলেন অমরনাথ। লর্ডসে তাঁকে প্যাড পরে তৈরি থাকতে বলা হয়। তবে তত্কালীন অধিনায়ক (মহারাজা অফ বিজয়নগরম বা ভিজি) তাঁকে বসতে বলে অন্য একজনকে তাঁর জায়গায় ক্রিজে পাঠান। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে সুযোগ পান অমরনাথ। ফলে তিনি খুব রেগে ছিলেন। ড্রেসিংরুমে ফিরে নিজের ব্যাগ, কিট সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। পঞ্জাবি ভাষায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন। সেই সময় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ইংরাজিতে কথা বলতেন। তবুও অমরনাথের ড্রেসিংরুমের কাণ্ডের কথা ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। তত্কালীন দলের ম্যানেজার মেজর জ্যাক ব্রিটেন জোন্স তাঁর হাতে একটি চিঠি দিয়ে তাঁকে দেশে ফিরে যেতে বলেন। যেখানে বাকি সদস্যদেরও সই ছিল'।
আরও একবার এমনৃ ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেবার বোর্ড কোনো ক্রিকেটারকে ফেরত আসতে বলেনি। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডে অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে কাউকে না বলে দেশে ফিরে আসেন নভজ্যোত সিং সিধু। তাঁর জায়গায় ভারতীয় দলের হয়ে ওপেন করেন সৌরভ গাঙ্গুলি। লর্ডসে অইভিষেক টেস্টে শতরানও করেন তিনি। বাকিটা ইতিহাস।