রাজধানীর উত্তরা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের রায় ষষ্ঠবারের মতো পিছিয়েছে।
রবিবার এ মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও তা প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ৩০ জানুয়ারি নতুন দিন রাখেন সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বরও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছিলেন। তার আগে আরও চারবার রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরা থানাধীন ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের কিছু সদস্য সরকারবিরোধী লিফলেট ও পোস্টার বিলি এবং জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য পেট্রলবোমা নিয়ে আসেন। এ খবর পেয়ে উত্তরা থানার উপ-পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন।
এরপর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমীন হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ১৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সাতজন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, আবু ইউসুফ আলী ও তৌহিদুল আলম।