এবারের মন্ত্রিসভায় নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাদ পড়ছেন পুরনোদের বেশিরভাগ সদস্য। তবে কি কারণে তিনি এবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা অনেকের মাঝেই রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তবে এবার সেই রহস্য খোলাসা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
গতকাল সোমবার বিকেলে বরিশালে নিজ বাসভবনে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে মন্ত্রিসভায় নতুনদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
এ সময় মানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
আমির হোসেন আমু বলেন, যারা রাজনীতি করে এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা করেছে তাদের সবারই মন্ত্রিত্ব প্রাপ্য। দেশ পরিচালনার ভার একসময় তরুণদের হাতেই পড়বে। তরুণদেরকে গড়ে তোলার দিকে খেয়াল রেখেই এবারের মন্ত্রীসভা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করেছেন। তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন অব্যাহত রাখার জন্যই কাজ করবে এই তারুণ্য নির্ভর সরকার।
এদিকে নতুন মুখ হিসেবে পূর্ণমন্ত্রিরা হলেন- আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), হাছান মাহমুদ (তথ্য), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাঠ), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য)।
এছাড়া সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ.ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ)।
এদিকে নতুন প্রতিমন্ত্রীরা হলেন-কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন)।
এছাড়া স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), ডা. এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থানা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান) এবং শেখ মো. আবদুল্লাহ (টেকনোক্রেট -ধর্ম)।
উপমন্ত্রী হিসেবে ডাক পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, হাবিবুন নাহার (পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানি সম্পদ মন্ত্রণালায়) ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)।