এই দিন পুরানো জুনায়েদ যেন ফিরে আসলেন সিলেটের মাঠে। চার-ছক্কায় ভরিয়ে দিলেন দর্শকদের মন।৪১ বলে ৭০ রানের ইনিংসটা ছিলো চলতি বিপিএলের সেরা ইনিংস। যা তামিমের ৭৩ রানের কাছে ম্লান হয়ে গেল।
১৮২ রানের ভার যেকোন দলের জন্য কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজটা সহজে রপ্ত করলেন তামিম ও বিজয়। নান্দনিক শর্ট আর টাইমিংয়ে শুরুটা দারুণ করলেন এই দুই ওপেনার।
তাদের জুটি থেকে আসলো ১১৫ রান। যা চলতি বিপিএলে সব থেকে বড় জুটি।
হয়তো তামিম সেঞ্চুরি করে আজকের ম্যাচটা আরও রাঙাতে পারতেন কিন্তু মালিঙ্গার বলে ক্যাচ আউট হলে ভেঙে যায় সেই স্বপ্ন। ৪০ রান করে ফিফটি করার স্বপ্নটা ভাঙে বিজয়েরও।
এরপর ম্যাচ জিতানোর দায়িত্বটা যেন নিয়েই নিলেন ক্যাপ্টেন ইমরুল ১১ বলে খেলে দিলেন ২৮ রানের বিরাট এক ইনিংস। কিন্তু তখনও জয় পেতে তাদের ২৮ রান বাকি ছিলো । ঠিক সেই মুহুর্তে তিনিও বিদায় নিলেন। এরপর পেরেরার ব্যাটিংয়ে সহজ জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
প্রথমে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১৮১ রান করে। ১৮২ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেট হাতে রেখে ১৮৬ রান করে কুমিল্লা।
এর আগে,
কুমিল্লার বিপক্ষে ওপেনিংয়ের শুরুটা নড়বড়ে করলেও দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে দারুণ সূচনা করেছেন জুনায়েদ ও আল আমিন । এই জুটি থেকে ৭২ রান পায় টাইটান্স। এরপর আল আমিন ৩২ রানে বোল্ড আউট হলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
আল আমিনের বিদায়ের পর জুনায়েদ মাহমুদউল্লাহর সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্যাপ্টেন রিয়াদ মাত্র ১৬ রান করে সেই আফ্রিদির বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান সাজ ঘরে।
এরপর ভেক্টোরিয়ান্স বোলারদের বিপক্ষে একাই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন জুনায়েদ। কিন্তু দুরভাগ্য জুনায়েদের ১৬ ওভারের মাথায় ৭০ রান করে রান আউট হন তিনি।
কুমিল্লার সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
তামিম(৭৩), বিজয়(৪০), শামসুর(১), ইমরুল (২৮),ডাওসন(১), আফ্রিদি(১২), পেরেরা(), জিয়া(০),(২৪)*।
উইকেট নিয়েছেনঃ জুনায়েদ(৪), মালেঙ্গা(১), মাহমুদউল্লাহ(১)।
খুলনা টাইটান্সের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
জুহুরুল(০), জুনায়েদ(৭০), আল আমিন(৩২), মাহমুদউল্লাহ(১৬), মালান(২৯), ব্র্যাফেট(১২), শান্ত(১)* ও আরিফুল (১৩)*।
উইকেট নিয়েছেনঃ আফ্রিদি(৩), ওহাব(২) ও সাইফউদ্দিন(১)।
খুলনা টাইটান্সঃ মাহমুদউল্লাহ(অধিনায়ক), আল আমিন, জুনায়েদ সিদ্দিকী , জহুরুল ইসলাম,মালান ,শান্ত, ব্র্যাফেট, জুনায়েদ, মালেঙ্গা, তাইজুল, আরিফুল।