শনিবার রাতে সিলেটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে চিটাগং বাদে সব দিই ৬টি বা তার বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ঢাকা পর্বে দেশি ক্রিকেটাররা রান না পেলেও সিলেট পর্বে তারা রান খড়া থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। তবে বরাবরের মতো বোলিং ডিপার্টমেন্টে এখনো দাপট দেখাচ্ছেন দেশি ত্রিকেটাররা।
দুই পর্ব শেষে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের তালিকায় শীর্ষে যারা
৭ ম্যাচে ৭ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৩৪৯ রান করে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার আগে রংপুরের আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুসো। তার পরেই ২য় অবস্থানে সাত ম্যাচে ৪৮ গড়ে ২৪৪ রান করেছেন নিকোলাস পুরানের।
তৃতীয় স্থানে থাকা অষ্ট্রলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিন ওয়ার্নার ৭ ম্যাচে ২২৩ রান নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন। তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটার জুনায়েদ সিদ্দিকি ৭ ম্যাচে ২০৩ রান করেছেন।
জুনায়েদের পরেই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আরেক বাংলাদেশি মুশফিকুর রহিম। চিটাগংয়ের এই ব্যাটসম্যান ৫ ম্যাচ খেলে ১৯১ রান করেছেন। সাদ ম্যাচে ১৫১ রান করে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ব্যাট হাতে বিদেশী ব্যাটসম্যানরা সেরা হলেও এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার তালিকায় সবার উপরে সাব্বির রহমান রুম্মান।রংপুরের বিপক্ষে তিনি খেলেন ৮৫ রানের নান্দনিক এক ইনিংস। ঢাকার বিপক্ষে ৮৩ রান করে এই তালিকায় ২য় অবস্থানে রাইলি রুসো।
ব্যাট হতে বিদেশীরা সেরা হলেও বল হাতে রাজত্বটা বাংলাদেশী বোলারদের। ব্যাটসম্যানদের নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছেন লোকাল বোলাররা। ব্যাটিংয়ের থেকে বোলিংয়ে দেখা যাচ্ছে উল্টোচিত্র। সেরা পাঁচ জন্যের মধ্যে একজন মাত্র বিদেশী।
৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সবার আগে স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। তার ইকোনমিরেট ৮.৮৭। তাসকিনের পরেই ২য় অবস্থানে থাকা শফিউল ইসলাম ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। তার বোলিং ইকোনমিরেট ৮.২৩।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফির বিন মুর্তজা। সাতটি ম্যাচে ৬.৯৬ ইকোনমিরেটে ১২ টি উইকেট নিয়েছেন। ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ৪ নাম্বারে আছেন সাকিব আল হাসান। ইকোনমিরেটে ৭.৬৬।
তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন একজন বিদেশি ক্রিকেটার। চিটাগং ভাইকিংসের রবি ফ্রাইলিং ৪ ম্যাচে ৭.৫৬ ইকোনমিরেটে ৯টি উইকেট নিয়েছেন।
দুই পর্ব শেষে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে ঢাকা। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জয় পেয়েছে তারা। এদিকে পাঁচ ম্যাচে ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে উঠে এসেছে চিটাগাং। কুমিল্লা রয়েছে ৩য় অবস্থানে। ছয় ম্যাচে চারটিতে জয় পেয়েছে তারা। সাত ম্যাচে তিন জয় নিয়ে মাশরাফির রংপুর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ছয় ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে জায়গা রয়েছে রাজশাহীর। সপ্তম স্থানে সিলেট সাত ম্যাচে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে। টেবিলের তালনীতে থাকা খুলনা ৭ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পেয়েছে।