যন্ত্রে অপাঠযোগ্য কাগজের পাসপোর্টের দিন শেষ হয়েছে বেশ আগেই। যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট-এমআরপি) ধারণাও শেষ প্রায়। কারণ, যুগ এখন ডিজিটাল পাসপোর্টের।
তারই ধারাবাহিকতায় নরসিংদী জেলার পাসপোর্ট অফিসে সম্প্রতি সময়ে কিছু দোষ-ত্রুটি থাকলেও তার থেকে বের হয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার কারণে প্রায় ৭২ টি ইউনিয়নের জনসাধারণরা সহজেই পাসপোর্ট অফিসে এসে করতে পারছে ডিজিটাল পাসপোর্ট।
নরসিংদী জেলার পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ শাহজাহান কবির জানায়, ডিজিটাল পাসপোর্ট চালু হওয়ায় অতি সহজেই গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে ডিজিটাল পাসপোর্ট। প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ্য মানুষদের জন্য রয়েছে বিষেশ সুযোগ-সুবিধা।
এই ডিজিটাল পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। পূর্বে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য ছিল, তা ডিজিটাল পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর।
বিগত সময়ের মতই পাসপোর্টে যা ছিল, এই ডিজিটাল পাসপোর্টেও একই ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। আগের পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা ছিল, ডিজিটাল পাসপোর্টে তা নেই এবং এখানে রয়েছে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
এদিকে বেলাব উপজেলা থেকে আসা সাবিকুন্নেছা জানান, তিন হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ টাকা ব্যাংকড্রাফ্ট করে এই পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের নিকট গেলে খুব সহজেই আমাদের সকল তথ্য বুঝিয়ে ফিংগার প্রিন্ট দিতে বলেন।
অপরদিকে শিবপুর উপজেলা থেকে আসা আল-আমিন মিয়া বলেন, বর্তমান সময়ে পাসপোর্টের অফিসে প্রতি সাপ্তায় একটি গণসংযোগ করে। আমিও ঐ গণসংযোগে অংশগ্রহনণ করেছিলাম। পরে খুব সহজেই গণসংযোগের মাধ্যমে আমার পাসপোর্টের ভুলগুলো সামাধান করে দেন এই পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক।
এদিকে নরসিংদী জেলার পাসপোর্ট অফিসের সূত্রে জানা যায় যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট পাসপোর্ট করেন ৫৩ হাজার ৩শত ৭৭ জন। এর মধ্যে মহিলা সংখ্যা ১৬ হাজার৩শত ১৬ জন। আর পুরুষ ৩৭ হাজার ৬১ জন।
সম্প্রতি সময়ে এই জেলার নারীরা বহিরাগমনে বেশি আগ্রহী হওয়ায় প্রায়ই সময়ই পাসপোর্ট অফিসে বাড়ছে মহিলা পাসপোর্টের সংখ্যা।