রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এই কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটিতে অন্যান্যরা হলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব মো. শাহাদত হোসেন।
এদিকে এক বিবৃতিতে মুগদা হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত বলে অভিহিত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক এবং কারো কাছেই কাম্য নয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর বারোটার দিকে হামলার শিকার হয়েছেন আরটিভির দুই সাংবাদিক।
অনিয়মের খবর পেয়ে হাসপাতালে যান আরটিভির প্রতিবেদক সোহেল রানা ও ক্যামেরাম্যান নাজমুল হোসেন সায়মন। এ সময় অনিয়মের ভিডিও ধারণ করতে গেলে হাসপাতালের কর্মীদের হামলার শিকার হন তারা।
হামলার শিকার নাজমুল হোসেন সায়মন জানান, সংবাদ সংগ্রহে গেলে প্রথমে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিয়ে পরিচালকের অনুমতি নিতে বলে।
পরে পরিচালকের কক্ষে গেলে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগার করে বলেন, সাংবাদিকদের কারণেই প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের ওপর কড়াকড়ি করেছেন। হাসপাতালে কোনও সাংবাদিক প্রবেশ করা যাবে না।
তিনি জানান, এ সময় আমরা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তায় রোগীদের বক্তব্য নিতে গেলে হাসপাতালের কর্মীরা ফের বাধা দেয়। ক্যামেরার লেন্স ভেঙে ফেলে। তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রতিবেদক সোহেল রানার ওপর হামলা করেন দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সংগঠনের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্ণিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল এবং সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদও পৃথক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।