জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দোকানদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ (পদার্থ বিজ্ঞান, ৩৭ তম ব্যাচ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মারধরের শিকার আব্দুল মান্নান বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সংলগ্ন চায়ের দোকানের মালিক।
অভিযোগকারী বলেন, রাসেল প্রায় সময় নাস্তার বিল পরিশোধ না করে চলে যায়। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাসেল সহ তিনজন দুপুরের দিকে তিনটা চা খেয়ে একটার বিল দিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যায় পুনরায় খেতে এলে বাকি টাকা চাওয়ায় সে ক্ষেপে যায় এবং বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা রাসেলকে সরিয়ে আনে।
দোকানদার মান্নান আরও জানান, অনেক সময় শিক্ষার্থীরা নাস্তা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। রাসেল মাহমুদ টাকা দেয় নি বলায় সে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং ছেলের সামনে আমাকে অপমান করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ বলেন, আমি চায়ের দাম পরিশোধ করেছি। মান্নান ভাই অহেতুক আমার সাথে উচ্চবাচ্য করায় তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি কাউকে মারধর করিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, সাবেক শিক্ষার্থীদের বিচার করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব নয়। আর লাইব্রেরিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুযোগ দিয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলা হচ্ছে। লাইব্রেরির দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিলে এ ধরণের সমস্যা এড়ানো যায়।
বিষয়টি নিয়ে লাইব্রেরির দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, সাবেক শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনা করে লাইব্রেরিতে তাদের পড়াশুনার সুযোগ দেয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টরকে দায়িত্ব নেয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য, রাসেল পদার্থবিজ্ঞান ৩৭ব্যাচ ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীলতার কারণে তাকে আজীবন বহিষ্কার ও সিন্ডিকেটে সার্টিফিকেট বাতিল করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।