Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনুশীলন থেকে বাড়ি ফিরে দেখলেন ঘরের মধ্যে বাবার মৃতদেহ ঝুলছে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৪৩ PM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


বাবা ডেভিড বেয়ারস্টো ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের নাম করা খেলোয়াড়। খেলেছেন চারটি টেস্ট ও ২১টি ওয়ানডে। সেই সুবাদে বাবাকে দেখে খেলার আগ্রহটা তাঁর জন্মায় আট বছর বয়স থেকেই।কিন্তু বাবা ক্রিকেটার হলেও তিনি ফুটবল বেশি ভালোবাসতেন।

সারাক্ষণ খেলা নিয়েই ব্যস্থ থাকতেন। শৈশব বয়সে যা হয় আর কি। কিন্তু সেই সময় তাঁর মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। তাই খেলা ধুলা কমিয়ে দিয়ে ক্যান্সার আক্রন্ত মায়ের পাশেই বেশি থাকতেন।এর মধ্যে সুযোগ পেলে  ফুটবল খেলতে যেতেন। একদিন ফুটবল অনুশীলন করে বাড়ি ফিরে দেখলেন, ঘরের মধ্যে ঝুলে রয়েছে তাঁর বাবার মৃতদেহ!  

ভাবছেন কার জীবনের গল্প বলছি? যার কথা বলছি তিনি হলেন, ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর। নিজের জীবনের এমন কষ্টের কথা বুকের মধ্যে চাপা রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবার মৃত্যুর ২০ বছর পর সেই কথা জানালেন তাঁর বই ‘এ ক্লিয়ার ব্লু স্কাই’-এ। বাবা ডেভিড বেয়ারস্টোর মৃত্যুর পর ক্যানসার আক্রান্ত অসুস্থ মা কীভাবে সংসারের হাল ধরেছিলেন, তাই ওঠে এসেছে ইংলিশ ক্রিকেটারের এই বইয়ে।

বাবা চলে যাওয়ার পর বাবার পথ অনুসরণ করলেন বেয়ারস্টোর। ফুটবল ছেড়ে শুরু করলেন ক্রিকেট চর্চা। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য বাবা বড় ক্রিকেট থাকার পরেও তাঁর কাছ থেকে হাতে কলমে ক্রিকেট শেখা হয়নি। এরপর ক্রিকেটে নিজের নাম ছড়িয়েছেন। বাবার মতই তাঁর খেলার ধরণ। উইকেটকিপারও করেন একই রকম।বাবার মতোই ক্লাব ইয়র্কশায়ারে খেলছেন জনি। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৪৫টি টেস্ট, ৩২টি ওয়ানডে এবং ২৩টি-টোয়েন্টি।

বাবার চলে যাওয়ার কারণ বেয়ারস্টোর। কিন্তু এ নিয়ে  প্রতিদিন নিজেকে প্রশ্ন করতেন না জনি।  কারণ, এমন প্রশ্ন সামনে এগুতে দিবে না। সে সময় বাবা হারানোর কষ্টকে প্রাধান্য দিলে মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখত।সাধারণত কোনো সমস্যা থেকে বের হতে অন্য কিছুতে নজর দিতে হয়, জনি  ঠিক সেটাতেই  দিয়েছিলেন। আর তা হল মায়ের স্বাস্থ্য।’

 

Bootstrap Image Preview