চিটাগং পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে খেলার সময় মাঠের মধ্যে নিজের উপর ক্ষণিক সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন মুশফিকুর রহিম।
চিটাগং ভাইকিংসের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিলো ডাকা ডাইনামাইটস। খেলায় তখন টান টান উত্তেজনা। ঢাকার ১৬ বলে ২৯ রান দরকার । সেই সময় বোলিংয়ে ছিলেন নাঈম হাসান। ১৮ তম ওভারের তৃতীয় বল যখন নাঈম করেন তখন সেটি সজারো আকশে তুলে দেন ব্যাটিংয়ে থাকা শুভাগত হোম।
কিন্তু ক্যাচটি ধরতে সক্ষম হননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর তাতেই রেগে মেঘে ফায়ার ক্যাপ্টেন মুশফিক। ক্ষণিক সময়ের ব্যাবধানে তাকে মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
মুফিকের নির্দেশে তখন মাথা নিচু করে মাঠের বাহিরে চলে গেলেন মোসাদ্দেক। তাঁর পরিবর্তে মাঠে ফিল্ডিং করতে নামলেন সাদমান ।
মোসাদ্দেক মাঠের বাহিরে যাওয়াতে প্রশ্ন উঠছে , এই ভাবে কি কোন খেলোয়াড় মাঠের বাহিরে যাওয়া যায়?তবে নিয়মটা পরিষ্কার করলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ আম্পায়ার এনামুল হক মণি, ‘একজন ফিল্ডার তিন কারণে মাঠ ছাড়তে পারে। প্রথমত, সে যদি অসুস্থ হয়। দ্বিতীয়ত, যদি চোট পায়। তৃতীয়ত, সবার সম্মতি অনুযায়ী মাঠের বাইরে যেতে পারে। সৈকত (মোসাদ্দেক) কি এই তিনটির কোনো একটি কারণে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেছে? ঠিক বলতে পারছি না।’
চিটাগং টিম ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বিষয়টি খোলাসা করেছেন, ‘শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে অধিনায়কের মেজাজ হারানো অস্বাভাবিক নয়। তবে মুশফিক বের হয়ে যেতে বলেছে বলেই শুধু নয়, সৈকত কনিষ্ঠ আঙুলেও ব্যথা পেয়েছে। এ কারণে মাঠের বাইরে চলে এসেছে।’
তবে মোসাদ্দেক মাঠ থেকে বের হলেও পরে শান্তি পেয়েছেন কারণ তাঁর দল চিটাগং শক্তিশালী ঢাকাকে ১১ রানে হারিয়ে। ইতোমধ্যে প্লে-অফে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে মুশফিকরা। তবে ঢাকা খেলতে পারবে কি না সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না।