Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে : মনিটরিং সংস্থা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:০৪ PM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:০৪ PM

bdmorning Image Preview


নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা।ভোটকেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ ছিল বলে জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে স্থানীয়/জাতীয় পর্যায়ের ৫৬টি এনজিও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর, আনন্দঘন পরিবেশে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম বলছে, নির্বাচনে সারাদেশের ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৩৯টি আসনে ১৭ হাজার ১৬৫টি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন দিয়েছে তারা।

প্রতিবেদনে সুপারিশ করে বলা হয়, আগামী সব নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম সম্মানী ভাতা দেয়া উচিত। এর ফলে বিদেশি সংস্থার অর্থের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ফরমায়েশি প্রতিবেদন থেকে পযবেক্ষক সংস্থাগুলো বিরত থাকবে।

ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মাওলানা মো. আবেদ আলী প্রতিবেদন পাঠে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর, আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্থার পর্যবেক্ষকদের মতে, যেসব কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, ওইসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক এবং কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি চোখে পড়েনি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন শেষ করায় আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন সার্ক হিউমেন রাইটস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সর্বমোট আটজন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন এবং তারা নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বলেও তিনি জানান।

প্রার্থীদের আচরণের বিষয়ে আবেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারসহ সার্বিকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ পরিলক্ষিত হয়। তবে কিছু সংসদীয় আসনের প্রার্থী মামলার অজুহাতে প্রশাসনের হয়রানির শিকার হয়েছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন কমিশন উল্লিখিত বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচন কাজে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সার্বিকভাবে কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন এবং পর্যবেক্ষণে ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধার সৃষ্টি করেননি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের আরও শক্তিশালী করা, নির্বাচনি সহিংসতায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা, নির্বাচনের কয়েকটি কেন্দ্রে নিহদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়াও সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।

Bootstrap Image Preview