বিদেশে ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের মালিক এম এ কাদেরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিম শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা আসামির জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
এর আগে আজ দুপুর পৌনে ২টার দিকে এম এ কাদেরকে ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএসএম) আদালতে হাজির করে আদালতের হাজতখানায় রাখেন শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।সেখানে থাকাকালীন আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তীতে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে উল্লেখ করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়।
জনতা ব্যাংকের এই অর্থপাচারের ঘটনা তদন্তের জন্য গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তন্ত অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে কাদেরকে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাকে গ্রেফতার দেখানোর কথা জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় এম এ কাদেরসহ ১৭ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার মডেল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্রিসেন্ট গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ এবং রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নামে ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এম এ কাদের ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের চেয়ারম্যান।
মামলায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা, চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়। আবদুল আজিজ সম্পর্কে এম এ কাদেরের ভাই। তিনি রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান।
মামলায় ক্রিসেন্ট লেদার ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ, রিমেক্স ফুটওয়্যার ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ ১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার পণ্য বিদেশে এক্সপোর্টের মাধ্যমে ওই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন মর্মে অভিযোগ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ক্রিসেন্ট গ্রপের পরিচালক এবং রিমেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান মিরা, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনি, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জাহান, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মগরেব আলী, খায়রুল আমিন, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) আতাউর রহমান সরকার, ডিজিএম মো. ইকবাল, এ কে এম আসাদুজ্জামান, কাজী রইসউদ্দিন আহমেদ, জিএম রেজাউল করিম, ডিএমডি ফখরুল আলম এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান ডিএমডি জাকির হোসেন (তৎকালীন জনতা ব্যাংকের জিএম)।