আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সারাদেশে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই আদেশ অমান্য করে গোপনে কোচিং পরিচালনার দায়ে এবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের আকস্মিক অভিযানে হাতে নাতে ধরা খেল ৫ কোচিং সেন্টারের মালিক।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গোপনে বরিশালের বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার গোপনে দরজায় তালা লাগিয়ে পাঠদান করে আসছিল। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় পাঁচটি কোচিং সেন্টার বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রেখে ভেতরে পাঠদান কার্যক্রম চালাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হঠাৎ গিয়ে কৌশলে তা ধরে ফেলেন। পরে ঐ পাঁচ কোচিং সেন্টারকে আর্থিক জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দায়ে নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোড এলাকায় ইডেন গার্লস একাডেমি কোচিং সেন্টারের মালিক মো. তানজিল খান, বিএম কলেজ রোড এলাকার সাইফুরস কোচিং সেন্টারের হারুন অর রশিদ, বৈদ্যপাড়া এলাকার নলেজ একাডেমির মাহফুজুর রহমান, অনির্বাণ কোচিং সেন্টারের অঞ্জন বণিক ও বিসিএস একাডেমির মো. মিন্টুকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।