আরব আমিরাত সফরে একের পর এক নজির স্থান করছেন নেপালের ক্রিকেটাররা। এবার আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফ-সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন নেপালের সন্দ্বীপ জোরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন টি-২০ সিরিজে বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে ১৭ বছর ১০৩ দিনে হাফ-সেঞ্চুরি করেন জোরা। ফলে বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়ে যান জোরা।
ম্যাচটি ছিলো সন্দ্বীপের ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিফটি করা ২০তম ব্যাটসম্যান সন্দ্বীপ। এ তালিকায় রয়েছে রিকি পন্টিং, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্রায়েম স্মিথদের মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের নাম।
সন্দীপের আগে আন্তর্জাতিক টি-২০ ফরম্যাটে সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ডটি দখলে ছিলো কানাডার হিরাল প্যাটেলের। ১৮ বছর ১৭৭ দিনে টি-২০তে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন প্যাটেল।
জোরার বিশ্বরেকর্ডের দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২১ রানে ম্যাচ হারে নেপাল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৩২ রানে থামে নেপাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন জোড়া। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৬ বলে নিজের অনবদ্য ইনিংসটি সাজান জোরা।
উল্লেখ্য নেপাল দল এখন আরব আমিরাত সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইতিহাসের কনিষ্ঠতম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফসেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন রোহিত পাওডেল। ১৬ বছর ১৪৬ দিন বয়সে ৫৮ বলে ৫৫ রানের এক ইনিংস খেলে ভেঙেছিলেন শচিন টেন্ডুলকারের ১৬ বছর ২১৩ বয়সে করা হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড।
এই সফরেই আরর আমিরাতের বিপক্ষে নেপাল প্রথমবারের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় নেপাল। নেপাল ২-১ ব্যববধানে সিরিজ জিতে নেয়। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে পারস কাদক তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান। এছাড়া সম্পল নেন প্রথম পাঁচ উইকেট।