বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা-চক্র আজ। এ আয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার বিকাল ৩টায় গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সংলাপে অংশ নিলেও এবার চা-চক্রে অংশ নিচ্ছেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শুক্রবার চিঠিও দিয়েছেন তারা।
সকালে গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে চিঠি নিয়ে যান জোটের দফতরপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সমন্বয় কমিটির সদস্য আজমেরী বেগম এবং মিডিয়াপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম।
চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুব্রত চৌধুরীর স্বাক্ষরে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণ অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে আলোচিত হয়েছে। কমিটি এই চা-চক্রে অংশ না নেয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কোনোভাবেই নৈতিক নয়। সেদিন দেশের মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতাকর্মী এখনও জেলে আছেন। নতুন নতুন মামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে অংশগ্রহণ করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।’
নির্বাচনের আগে গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টসহ দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। ওই সংলাপে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় পায়।
সংলাপে অংশ নেয়া ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ২৬ জানুয়ারি আমন্ত্রণ পাওয়ার পর থেকেই চা-চক্রে যাবেন না বলে জানিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এ দাওয়াত তাদের কাছে ‘প্রহসন’। সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করে না।
অন্যদিকে শুক্রবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঐক্যফ্রন্টের চা-চক্র বর্জনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘এটাই তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।’