কড়া নজরদারি মধ্যে দিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে।
দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন। গত বছরের তুলনায় এবছর এক লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি পরীক্ষা দেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন।
এবার ১০টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১০২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনাল ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোটে কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২ টি। এছাড়াও বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ জন্য পরীক্ষার্থী রয়েছে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিবন্ধীসহ অন্যরা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়সহ শিক্ষক, অভিভাবক বা অন্যান্য সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করবে বিশেষ মনিটরিং কমিটি।
পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়াও সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।