শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ছাত্র সংসদ' (শাকসু) সচল করার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রফ্রন্ট।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা থেকে মিছিলটি বের করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাযিরুল আযমের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, মইনুদ্দীন মিয়া, ইউশা রশীদ প্রমুখ।
কমিটি সদস্য ইউশা রশিদ বলেন, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিশ্চিত করে শাকসু। হলগুলোতে দখলদারিত্ব বিদ্যমান। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি জানানোর মতো কোন কিছু নেই, অথচ শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়।
কমিটি সদস্য মইনুদ্দিন মিয়া বলেন, ১৯৯৭ সালের পর আর কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। শিক্ষক কর্মকর্তাদের নির্বাচন হয়, ছাত্রদের হয় না। ছাত্রদের কোন প্রতিনিধি না থাকায় প্রশাসন যা ইচ্ছা তা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ছাত্রদের কোনো সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা না করেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনগুলোকে রোড পেইন্টিং, দেয়াল লিখনের মতো কাজকর্মগুলোতে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। কারণ তারা ছাত্রদেরকে এক জায়গায় জড়ো হতে দিবে না। ছাত্রদেরকে তারা ভয় পায়৷
কমিটি সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন করে আসছি৷ হলে থাকে ১৫০০ শিক্ষার্থী অথচ হলে এটাচমেন্ট দেয়া আছে দশহাজার শিক্ষার্থী৷ শুনছি সৈয়দ মুজতবা আলী হল বর্ধিত করা হবে। সেটা কবে? দুই বছর যাবৎ শুনছি। টাকা আসছে কবে, তবে কোনো কাজ হয়নি। প্রশাসনের ভাবসাব দেখে মনে হয় সব দায় শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের কোনো দায় নাই। শিক্ষকদের দাবির মধ্যে শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি উল্লেখ থাকে না।
অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন ছাত্রফ্রন্ট এর নেতাকর্মীরা।