ডাকসু (উটঈঝট) নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা কেটে যাওয়ার পর এখন বিরোধী সব পক্ষই একযোগে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চাইছে। ছাত্র শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতিতে ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে ডাকসু নির্বাচনের হাওয়া বইছে জোরেশোরে।
তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ৩০ বছরের মধ্যে থাকবে, শুধু তারাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটার হতে পারবেন। তবে পিএইচডি বা সান্ধ্যকালীন কোনো কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না। তাদের বয়স ৩০ এর কম বা বেশি যাই হোক।
২৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী কোনো শিক্ষার্থীই ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন না। এছাড়া অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থী, সান্ধ্যকালীন কোর্স, পিএইচডি, প্রফেশনাল, এক্সিকিউটিভ, স্পেশাল মাস্টার্স, ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স বা এ ধরনের অন্যান্য কোর্সের শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী কোনোটাই হতে পারবে না।
স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির পর স্নাতকোত্তর বা এমফিলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা (বয়স ৩০ এর নিচে) ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন।
এছাড়া আবাসিক হলের ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলেই থাকবে। হলে ভোটকেন্দ্র করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা। বামপন্থী প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতারা হলের ভেতরে ভোটকেন্দ্র করার যে সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট নিয়েছে, তাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে এখন তাদের একমাত্র দাবি দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা। ডাকসু নির্বাচনের বৃহত্তর স্বার্থে সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের অধ্যাপক এস.এম. মাহফুজুর রহমানকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেন উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।