সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সরকারে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মন্তব্য’ করা এবং নেতিবাচক কোনো পোস্ট শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক করেছে সরকার। প্রাথমিকের বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়ে সবাইকে বিষয়টি অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ‘সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস/মন্তব্য প্রদান সংক্রান্ত’ ওই নির্দেশনা প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক স্ট্যাটাস/মন্তব্য ও বিভিন্ন অপপ্রচারমূলক তথ্য’ দেওয়া হচ্ছে, যা ২০১৬ সালের সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকার পরিপন্থি বলে জানানো হয়েছে এ নির্দেশনায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বাস্তব বা স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারীর আচরণ, প্রকাশ, মিথস্ক্রিয়া সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে। কনটেন্ট ও ফ্রেন্ড সিলেকশনে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগিং বা রেফারেন্সিং পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন বা বিধি-বিধানের সম্মুখীন হবেন।
সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর একটি নির্দেশনা জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজের ফেসবুক পাতায় ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ কোনো বিষয় প্রকাশ করতে পারবেন না।
অধিদপ্তরের আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে আমাদের কাছে খবর আসে। পরে কয়েকটি ঘটনা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নির্দেশনার আলোকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।’