সুনামগঞ্জে পূবালী ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপকের (ম্যানেজার) বিরুদ্ধে এক প্রবাসী গ্রাহকের দেড় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার পূবালী ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল বারীর ছেলে প্রবাসী বজলুর রহমান ওই অভিযোগ করেন।
থানায় দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে প্রবাসী বজলুর রহমান পাগলা পূবালী ব্যাংকে তার হিসাব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে সদ্য বিদায়ী শাখা ব্যবস্থাপক মিঠুন চক্রবর্তী চেক বই দেখার কথা বলে তার নিকট থেকে স্বাক্ষর করা চেক বইটি চেয়ে নেন। কৌশলে শাখা ব্যবস্থাপক চেক বইয়ের ১৮ নং পাতাটি সরিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে ওই প্রবাসীর হিসাব নম্বর থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
অভিযোগকারী সম্প্রতি ওই শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মলয় কান্তি দাস টাকা বৈধভাবে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান।
প্রবাসী বজলুর রহমান টাকা তুলেননি দাবি করে টাকা উত্তোলনের তারিখের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও দেখতে চান। দীর্ঘদিন বর্তমান ব্যবস্থাপকের কাছে ধর্না দিয়ে ভিডিওটি দেখতে না পেয়ে সাবেক ব্যবস্থাপক কতৃক টাকা আত্মসাতের বিষয়টি আচ করতে পেরেই প্রবাসী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নানান তৎপরতা শুরু করেছেন অভিযুক্ত মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি অভিযোগকারী ও স্থানীয় শালিশী ব্যক্তিদের ফোন করে বিষয়টি মন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য একাধিক অনুরোধ করেন।
উপজেলার কান্দিগাঁও’র ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে সাবেক ম্যানাজার মিঠুন চক্রবর্তী বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর কয়েকদফা মোবাইল ফোনে কল করে অনুরোধ করেছেন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার জন্য।
উপজেলার পাগলা বাজার পুবালী ব্যাংক শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মিঠুন চক্রবর্তীও ব্যক্তিগত মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কল করে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগের প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ওই বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।