মাদক ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল কর্মী আখ্যা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দশ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাসহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সহ-সম্পাদক আরমান কায়সার আবির, সফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আল ওয়াসী জীম।
ভুক্তভোগী ইমরান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আবির, জীম ও সফি ইমরানকে বৃত্তের সাথে দেখা করতে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তাকে মাদক ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল কর্মী আখ্যা দিয়ে বিশ হাজার টাকা দাবি করে বৃত্ত। টাকা না দিলে তাকে মারধর ও পুলিশে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। পরে সেখান থেকে ইমরান চলে আসার পর সফি, আবির ও জীম বৃত্তকে টাকা দেওয়ার জন্য বারবার চাপ দেয়। একপর্যায়ে সে দুই হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠায় এবং বাকি টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে বৃত্ত তাকে মারধর করেন। পরে ইমরান তার কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিয়ে দশ হাজার টাকা বৃত্তের হাতে দেন।
তবে অভিযুক্তরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি- ইমরানের সঙ্গে তার এক বন্ধুর ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঝামেলা মীমাংসা করার জন্য ইমরানকে ডেকে কথা বলা হয়েছে কিন্তু মারধর ও চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটেনি।
জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সবার সঙ্গে কথা বলে আমি বিষয়টি সমাধান করে দিবো।’