রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) এর উদ্যোগে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা শীর্ষক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে তরুণরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিটি বিজয়ে তরুণদের ভূমিকা ছিল অসামান্য। নিত্যনতুন যেসব প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে, তরুণরা এসব প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করতে হবে। গল্পের মাধ্যমে তরুণদেরকে নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে।
আব্দুস সোবহান বলেন, বর্তমানে ধর্মের নাম করে বিপথগামীরা তরুণদের সহিংসতা শিক্ষা দিচ্ছে। তরুণদের একটা কথা স্পষ্টভাবে মনে রাখতে হবে যে, তাদের কাজ হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। কোন ভাল কাজই বৃথা যায় না, বিইআই যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বিইআইয়ের এই উদ্যোগ তরুণদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।
বিইআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম হুমায়ুন কবীর শুরুতে তরুণদের মূল্যবোধ, শান্তির বার্তা প্রচার, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উগ্রবাদীকরণে হুমকি ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পরে তিনি অংশগ্রহণকারী তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিন আক্তার রেণী, বিইআইর গবেষণা কর্মকতা নিপা রানি, দাইয়ান ইবনে হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রকল্প উপদেষ্টা আজিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র, নিরাপত্তা, সুশাসন, আঞ্চলিক সহযোগিতা, পেশাগত ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০০ সালে বিইআই প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে সংস্থাটি তরুণদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, আলোচনা সভা ইত্যাদির আয়োজন করে আসছে।
বর্তমানে সংস্থাটি ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করে।