বিশ্বের সেরা মেধাবীদের আনাগোনা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে বিদ্যাপিঠে। প্রায় প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে সেরা দুই-তিন নম্বরের মধ্যে অবস্থান করে। আর সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নেতৃত্ব, এটা তো রীতিমতো তাক লেগে যাওয়ার মতো ঘটনা। আশ্চর্য হলেও অক্সফোর্ডে বাংলাদেশের প্রথম কোনো শিক্ষার্থী ঘটালেন এমন ঘটনা। বিশ্বখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন (ছাত্র সংসদ) অক্সফোর্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনিশা ফারুক। অক্সফোর্ডের ইতিহাসে আনিশাই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি শীর্ষ সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অক্সফোর্ডের ওয়েস্টন লাইব্রেরিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তিন দফায় অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বশীল এই সংগঠনে চূড়ান্ত পর্বে ১ হাজার ৫২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আনিশা ফারুক। ৪ হাজার ৭৯২ জন ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর আগে আনিশা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেবার পার্টির কো-চেয়ার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আনিশার এমন সাফল্যে বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর ফারুক আহামেদ বলেন, আনিশা শুধু আমার মুখ উজ্জ্বল করেনি, আমাদের দেশের মুখও উজ্জ্বল করেছে। আনিশার এমন সাফল্যে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আনিশা খুবই প্রচার বিমুখ একটা মেয়ে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে রেকর্ড পরিমান মার্কস পেলেও পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি করানো যায়নি।
মেজর ফারুক আহামেদ ও রেহানা চৌধুরীর দুই সন্তানের মধ্যে আনিশা ফারুক প্রথম সন্তান। বাংলাদেশের ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলায় ফারুক আহামেদের গ্রামের বাড়ি।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষানীতি নির্ধারণ ও দাবি নিয়েই কাজ করে না, পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে উচ্চ শিক্ষায় সরকারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও কাজ করে থাকে।
আনিশা ফারুক শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ান বংশোদ্ভূত দ্বিতীয় শিক্ষার্থী, যিনি অক্সফোর্ডের এত বড় একটি পর্যায়ে গেলেন।