‘বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শন কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু কর না দিয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এই কাজগুলো করছেন, তারা আইন লঙ্ঘন করছেন। আমি আশা করবো, সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই তারা এসব থেকে বিরত হবেন।’ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে সম্প্রচার সাংবাদিকদের নবগঠিত সংগঠন ‘সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্রে’র উদ্বোধন ও ‘সম্প্রচার সম্মেলন’ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় তিনি দেশের গণমাধ্যম অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাধীন বলেও দাবি করেন। রেডিও-টেলিভিশনের সাংবাদিকদের বেতন-কাঠামোর জন্য আলাদা নীতিমালার বিষয়েও সম্প্রচার সম্মেলনে আশ্বাস দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এর আগে ‘সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্রে’ ও ‘সম্প্রচার সম্মেলনে’র উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কল্যাণমূলক ও ঝুঁকি মোকাবেলা, পেশাগত ও অর্থনৈতিক সমতা বাড়ানো, গবেষণা ও নীতি সহায়তা লক্ষকে সামনে নিয়ে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র যেন কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, সম্প্রচার সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সাংবাদিক যেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের ল্যগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
পরে এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় ‘সম্প্রচার শিল্প: একটি সম্ভাবনার সংকট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।