রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে একটি র্যাগিংয়ের ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো তারা অবগত নন।
শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায় র্যাগিংয়ের ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটি।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাইলস্টোন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বেশকজন (আট থেকে দশজন)শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দিচ্ছে, প্রথমে ওই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের দরজা লাগিয়ে দিতে বলা হয়। তারপর র্যাগিং করা কেউ কেউ বলে উঠে ‘ভিডিও কর’।
প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থী সরি বলার পরও র্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের একজন প্রথমে গালে থাপ্পড় দেয়। এরপর উপর্যপুরি কিল আর ঘুষি চলতে থাকে, শিক্ষার্থীটি বার বার ভুল স্বীকার করাও পরও তাকে মারা হয় এক পর্যায়ে সে কান্নাও করে দেয়।
পরে ওই শিক্ষার্থীকে কানে ধরিয়ে উঠবস করানো হয় এবং আবার কিল ঘুষি দেওয়া হয়। ভিডিওর শেষদিকে দেখা যায় র্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থী ওই শ্রেণিকক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার প্রিপারেটরি স্কুলের প্রিন্সিপাল মো. আশরাফ হোসেন বলেন, বিষয়টি এখনো তাদের দৃষ্টিতে আসে নি, যেহেতু শুক্রবার স্কুল বন্ধ তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা কারা এ র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা তিনি বলতে পারে নি।
মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা বলছে বিষয়টি অনেক লজ্জার।
সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কলেজে এ ধরণের কোনো র্যাগিং আগে ছিল না, বিষয়টি নতুন যুক্ত হয়েছে। র্যাগিংয়ের নামে এমন নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
কলেজের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এখন যারা প্রথমবর্ষে এখানে অধ্যায়নরত তারা ইতিমধ্যে ছয়মাস পার করে ফেলেছে। এতোদিন পর কেন র্যাগিং বিড়ম্বনায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের?
তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছে, র্যাগিংয়ের ভিডিওটি সম্পূর্ণ একটা অভিনয়। ফেসবুকে বিষয়টি দিয়ে মানুষদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।