আজ শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা। সনাতন ধর্ম্বালম্বিদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এটি। বিদ্যার দেবী হওয়ায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢাকঢোল পিটিয়ে তা পালন করা হলেও দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম কৃষি বিদ্যাপীঠের চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। অর্থের অভাবে কখনো তা পালন করা হয়নি। বিডিমর্নিং'র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকালে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা ও বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ হরি কামাল দাস।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র সংসদের হাত ধরেই সর্বপ্রথম ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট তথা বর্তমানের শেকৃবিতে শুর হয় এই স্বরঃসতী পূজা। সেদিন এ বিষয়ে প্রশাসন উদাসীন হলেও তৎকালীন ছাত্র সংসদ (বাইকসু) এর সহ-সভাপতি মুরাদুল হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদিক এস.এম.জামিল হুসাইন লিটন ভাইরা সনাতন ধর্ম্বালম্বী শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে তাদের ফান্ড থেকে আমার হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দেন, আর আমরা ছাত্ররা সাথে ১০০টাকা করে দিয়ে প্রথমবারের মত আয়োজন করি সরস্বতী পূজা।
সেই থেকে প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে পালিত হয় স্বরসতী পূজা কিন্তু কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে সেই ছাত্র সংসদ। বিশ্ববিদ্যায়ের নবাগত শিক্ষার্থীরা জানেনই না তাদের গৌরব উজ্জল সেই ছাত্র সংসদের কথা। সময়ের পরিক্রমায় যেহেতু আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। তাই শেকৃবি ছাত্র সংসদ নিয়েও আশা বাঁধাতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।