সারাদেশে সড়ক-মহাসড়ক থেকে সব ধরনের বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব খুঁটি অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন বলেন, সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান যখন সড়ক মহাসড়কে বিপদজ্জনক খুঁটি রেখে দেন। এতে সাধারণ মানুষ বিপদের মুখোমুখি হয়। এসব বিষয় নিয়ে তারা আদালতে হাজির হয়। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে দ্রুত সময় বলতে কোনোভাবেই তা ৬০ দিনের বেশি যাতে না হয়।
একই সঙ্গে সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা বৈদুতিক খুঁটিসহ সব ধরনের বিপজ্জনক খুঁটি চিহ্নিত করে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ ইন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান,পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো ‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়নে এই বিবাদীদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন বাড়ি ফেরার পথে নরসিংদীর শিবপুরে সড়কের মধ্যে খুঁটি দেখতে পান। এ সময় তিনি সেখানে নেমে ওই খুঁটির বিষয়টি তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই খুঁটি অসারণ করে ফেলে। কিন্তু এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সড়কের মধ্যে খুঁটি সম্বলিত অসংখ্য ছবি ও তথ্য পাঠায় তার ম্যাসেঞ্জারে। পরে বিষয়টি নিয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।