ভারত নিয়ন্ত্রীত কাশ্মিরের পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলার আবহে সৌদি আরবের যুবরাজ সালমান ভারত সফর ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে দেশটিতে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সামলান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর ক্রাউন প্রিন্সের বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি গভীর সমস্যা। এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সৌদি আরব সবরকম সাহায্য করবে। ভারতের পাশে আছে সৌদি আরব। একথা বললেও পাকিস্তান, মাসুদ আজহার কিংবা পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কে সৌদি যুবরাজ কোনো মন্তব্যই করেননি।
এদিকে বুধবার কংগ্রেস সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে জানতে চেয়েছে আগের রাতে সৌদি প্রিন্সকে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রী সব প্রোটোকল ভেঙে নিজেই হাজির হলেন কেন এয়ারপোর্টে?
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরযওয়ালা জানিয়েছেন, সৌদি আরবে গিয়েও মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করেছিলেন মোদিজি। গতকালও বিমানবন্দরে সলমন নামতেই তাকে আবার আলিঙ্গন করলেন। এতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু দিনের শেষে সৌদি আরব কেন পাকিস্তান সম্পর্কে একটিও মন্তব্য করল না? ভারতে আসার আগেই তিনি পাকিস্তানে গিয়ে ইমরান খানের সঙ্গেও একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে নিজেকে পাকিস্তানেরই রাষ্ট্রদূত হিসাবে বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সৌদি আরবকে ভারত পাশে পায়নি সন্ত্রাসের প্রশ্নে।
উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ পাকিস্তান বিরোধিতা পশ্চিম এশিয়ার কূটনীতির সমীকরণে অবশ্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু বুধবার সরাসরি পাকিস্তান প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য না করে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ভারত ও অন্য প্রতিবেশিদের সঙ্গে সন্ত্রাসের প্রশ্নে তারা সবরকমভাবেই পাশে থাকবে। আর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতকে সব রকমভাবে সহায়তা করা হবে। পাকিস্তানের নাম না করেও প্রধানমন্ত্রী মোদি যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট পুলওয়ামার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নিন্দা করেন। কিন্তু সৌদি যুবরাজ বিবৃতিতে বলা হয় তার দেশ প্রয়োজনে গোয়েন্দা বার্তা আদানপ্রদান করবে সন্ত্রাস প্রতিরোধে। এবং সেটা শুধু ভারতের সঙ্গেই নয়, প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গেও।
তিনি বলেছেন, আমাদের সবাইকে একই সঙ্গে লড়াই করতে হবে সন্ত্রাসের মেকাবিলায়। বস্তুত সৌদি আরব ভারতের বহু পুরনো বন্ধু। তাই আরও কড়া কোনো মন্তব্য আশা করেছিল ভারত। যদিও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় পুলওয়ামার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সৌদি প্রিন্সও।