Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ রবিবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাবিতে গভীর রাতে ছাত্রলীগের হামলা, মারধর

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:১০ PM
আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:১০ PM

bdmorning Image Preview


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে এক শিক্ষার্থীর কক্ষে হামলা ও তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- রুমি আল মেহেদী (আইন ও বিচার, ৪৪ ব্যাচ), মেহেদী (পদার্থবিজ্ঞান, ৪৪ ব্যাচ), ইমরান হাসান (বায়োকেমিস্ট্রি, ৪৪ ব্যাচ), ইহসান নাঈম (ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ৪৪ ব্যাচ) ও মেহেদী হাসান (আই আর, ৪৪ ব্যাচ)।

অভিযুক্তরা মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সফিয়ান চঞ্চলের অনুসারী। মারধরের শিকার মো. আহসান হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের (৪৪ ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক ছাত্র।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে রুমি আল মেহেদী ফোন দিয়ে হাবিবকে তার ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলের চাবি হলের গেটে দিয়ে আসার নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাবিব চাবি দিতে অসম্মতি জানায়। পরে চাবি নেয়ার জন্য মেহেদী একজন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে কক্ষে পাঠায়। তাকেও চাবি না দেয়ায় মেহেদী সহ অভিযুক্তরা হাবিবের কক্ষে (৩৩২ নম্বর) গিয়ে দরজায় লাথি দিতে থাকে। দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে তারা হাবিবকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে মারতে মারতে তারা হাবিবকে হলের বাইরে বের করে দেয়। এসময় সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে গেলে হামলাকারীরা তাদের দিকেও তেড়ে যায়।

এদিকে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে গণিত বিভাগের ৪৪ তম আবর্তনের ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়। 

মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী আল রুমী বলেন, 'আমরা কয়েকজন হাবিবের রুমে কথা বলতে গেলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।' রাত ২টায় কেন তারা ওই রুমে গেলেন? এমন প্রশ্নে তিনি কল কেটে দেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সফিয়ান চঞ্চল বলেন, 'আমি তাদের হলে ঝামেলা করতে নিষেধ করেছিলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে মীমাংসার ব্যবস্থা করব।'

এ বিষয়ে মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, 'গভীর রাতে একজন শিক্ষার্থীর রুমে হামলা করা ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এর আগেও বিষয়টি নিয়ে হলে মিটিং করে মীমাংসা করেছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, 'বিষয়টি হলের অভ্যন্তরীণ। হল প্রভোস্ট প্রক্টর বরাবর অভিযোগটি ফরোয়ার্ড করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারব।'

Bootstrap Image Preview