Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সকল বিভাগের চেয়ারম্যানের একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত যবিপ্রবিতে

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৩৪ PM
আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


বিচার না পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানগণ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেইসাথে দুপুর পরবর্তী সময়ে কোন ধরনের ক্লাস পরীক্ষা না নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে সমিতির সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ জানুয়ারি শিক্ষকমণ্ডলীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শিক্ষ সমিতি ক্লাস বর্জনসহ বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। উপাচার্য ও যশোরের সুধীসমাজের অনুরোধে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির আশ্বাসে জানুয়ারী মাসের রিজেন্ট বোর্ড স্থগিত করে ১৯ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষকমণ্ডলীকে লাঞ্ছনাকারী উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় লাঞ্ছনাকারীদের শিক্ষক নির্যাতনে উৎসাহিত করা হয়েছে বলে মনে করেন যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে জানানো হয়, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানগণের পদত্যাগ, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বেলা ১টা ৩০ পরবর্তী সময়ে ক্লাস না নেওয়া, শিক্ষক সমিতির বার্ষিক বনভোজন স্থগিত, আগামী রিজেন্ট বোর্ডে সুষ্ঠু বিচার না পেলে প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ডীনগণের পদত্যাগ ও সম্পূর্ণরূপে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করবে।

সভা পরবর্তী সময়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষকগণ তাদের সুষ্ঠু বিচার পাইনি, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানগণ পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সুষ্ঠু বিচার না করে তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেব।

উলেক্ষ, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উশৃঙ্খল ও অছাত্রসুলভ আচরণ প্রমাণ হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এস এম একরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি (মিছিল-মিটিং-সভা-সমাবেশ-ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকে আনা) স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেইসাথে উত্তরপত্র মূল্যয়ণসহ ইতিপূর্বে শৃঙ্খলাবিরোধী নানা কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও প্রডাক্টশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সম্রাট কুমার দে-কে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Bootstrap Image Preview