পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনারয় ‘নিখোঁজ’ সন্তানের খোঁজে ব্যাকুল এক বৃদ্ধ বাবা। যাকেই সামনে পাচ্ছেন তাকেই ছবিটা দেখিয়ে জানতে চাচ্ছেন তার ছেলেকে দেখেছে কিনা।
বৃদ্ধ বাবার পাশে দুই হাতে পাসপোর্ট সাইজের দুটো ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বোরকা পরা এক তরুণী। হারিয়ে যাওয়া ভাইয়ের সন্ধানে তিনিও ছুটে এসেছেন হন্য হয়ে।
বৃদ্ধ বাবা জানান, তার ছেলের নাম এনামুল হক। বুধবার রাতে চকবাজারের সাকুরা মার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে রিকশায় কেরানীগঞ্জের বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন।
গত তিন দিন ধরে তিনি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে ছুটে আসছেন। হন্য হয়ে খুঁজছেন ছেলেকে। কিন্তু কোথাও মিলছে না।
এ সময় বোন রোজিনাকে কান্নাজড়িত কণ্ঠেবলতে দেখা যায়, ‘ভাইটা কি বাঁইচ্যা আছে? আগুনে পুড়ে না জানি কত কষ্ট পাইছে।’
বৃদ্ধ বাবা পাশ থেকে অসহায়ের মতো জানতে চাইলেন, ‘ছেলের লাশটাও কি পামু না?’
এ দিকে চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধদের খোঁজখবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অফিস খোলার পর পার্লামেন্টে আলোচনা করে চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, কেমিক্যাল মালিকদের গুদাম না সরানো দুঃখজনক। তবে এই ঘনবসতির এলাকায় যেন আর কেমিক্যাল না থাকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সে দিন সারা রাত জেগে থেকে প্রতি মুহূর্তের খোঁজখবর নেন সরকার প্রধান। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন তিনি। এ ছাড়া পরবর্তীতে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।