আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত: পাকিস্তান

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুদ্ধের আশঙ্কায় ইতোমধ্যে কাশ্মীরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ২ দেশ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুলওয়ামা হামলা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আরেকটি সংঘাত বাধতে পারে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর কাশ্মীর ইস্যুতে ইতোমধ্যে দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার সীমান্ত (এলওসি) এলাকা পরিদর্শন করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। এ সময় তিনি ভারতকে সতর্ক করে বলেছেন, দেশটির যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের সমুচিত জবাব দেবে তার সেনারা।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারির আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪৯ জন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়। আহত হয় আরো অন্তত ৪১ জন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম বলছে, ভারতীয় যেকোনো পদক্ষেপের পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দিতে পাক সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেওয়ার পর দিনই সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং সেনাদের মনোবল পর্যবেক্ষণ করতে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন জেনারেল বাজওয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ এ কর্মকর্তার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন থেকেই বোঝা যায়, প্রতিপক্ষের জন্য কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তান।

চিরিকট ও বাগসার সীমান্তে সেনাদের উদ্দেশে বাজওয়া বলেন, ‘পাকিস্তান একটি শান্তিকামী দেশ এবং আমরা কারো হুমকি বা আতঙ্কের কারণ হব না। তবে যেকোনো আগ্রাসন বা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার যথোচিত জবাব দেওয়া হবে।’

এর আগে একই দিন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র মেজর জেনারেল আফিস গফুর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আমরা যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনীর ওপর চালানো ওই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মাদ। এরপর থেকেই ভারত অভিযোগ করে আসছে, হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে। যদিও পাকিস্তান সে অভিযোগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ভারতের অভিযোগের ব্যাপারে প্রমাণ দাবি করেছে।

কিন্তু ভারত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন না করেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেইসঙ্গে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার তোরজোর চালাচ্ছে। সম্ভাব্য যেকোনো হামলার জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানও।