নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২য় সমাবর্তন বর্ণোজ্জ্বল আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, রাষ্ট্রপতি ও আচার্য অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পুঁথিগত বিদ্যা প্রদান করে না, শিক্ষার্থীদের অতীতের সাথে বর্তমানের যোগসূত্র ঘটায়। তাদের সমকালীন আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন করে তোলে এবং বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করে।
তিনি গ্রেজুয়েটদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, আজকের দিনটি তোমাদের জীবনের এক গৌরবজ্জ্বল দিন। এই দিনে তোমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাজীবনের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা নিয়ে কর্মজীবনের পথে পা বাড়াবে। মনে রাখবে ব্যক্তি তার কর্মের মাধ্যমে নিজ, পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনে নিয়োজিত হয়। ইতিবাচক কর্ম, মেধা, প্রজ্ঞা, পরিশ্রম ও স্বদেশ প্রীতি দিয়ে তোমারাই গড়ে তুলবে আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
উদ্বোধনের পূর্বে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ সমূহ থেকে পাঠ করা হয়। উদ্বোধনের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডের উপর নির্মিত প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০১৫ জনকে স্নাতক, ৪৫৯ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১১ জনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। ১১ জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন আচার্য ও উপাচার্য স্বর্ণপদক।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপুমনি এমপি।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।
এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকবৃৃৃন্দ এবং এসএসএফ, এনএসাই, ডিজিএফআই, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর আগে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।