ঢাকায় ছয় দফা দাবিতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের ওপর পুলিশের হামলায় প্রতিবাদী সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ও ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অমর কুমার রায় শুভ'র সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, ঢাকার চকবাজারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক পালন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
সেখানে পুলিশ বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০ জনকে আহত করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ২৮ জনকে আটক করে। কিন্তু তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সাময়িকভাবে অপমান করা হয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের জন্য এটি লজ্জাজনক।
এসময় এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার, সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান লিখন, ফরহাদ হোসেন এবং মুহতাসিম বিল্লাহ মারুফ, জ্যোতিবসু বর্মণ, নাসির উদ্দীন প্রমুখ।
এসময় আরও ৬টি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সরকারি চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করা, ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধীদের সকল অপপ্রচার, কোটা সংস্কার আন্দোলন নামে সকল প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের বিচার করা এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থেকে সরে এসে গণভবনের সামনে অবস্থান নিলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তারা।